
আমাকে ছাড়ুন, ব্যাথা লাগছে।
না ছাড়বো না, লাগুক ব্যাথা তাও তোমাকে আর ছাড়বো না।
আমি এবার চিৎকার করবো কিন্তু। প্লিজ আমাকে ছাড়েন।
কেনো চিৎকার করবে? এতো দিন পর তাও তুমি আমার সাথে এমন করবে।
হ্যাঁ করবো। আমি আপনাকে চিনি না জানি না আবার আমার হাত ধরছেন কতো বড় সাহস
তুমি আমার মায়া। তাই তোমার হাত ধরার অধিকার আমার আছে।
মানে কি? আমি মায়া না
হ্যাঁ তুমি মায়া
আরে আমি আপনার মায়া না একটু বোঝার চেষ্টা করেন
আমি কিছু বুঝতে চাই না, তুমি এখন আমার বাড়ি যাবে আমার সাথে থাকবে
আচ্ছা আমার কথা আগে ভালো করে শুনেন তার পর আপনার কথা মেনে নিবো
হুম বলো
দেখুন আমি বোরখা পরা আছি মুখ ঢাকা আছে
শুধু চোখ দুটো দেখা যাচ্ছে আর ওই যে বাড়ি টা দেখছেন ওখানে থাকি।
তাহলে আমি কিভাবে আপনার মায়া হই বলেন
আমি আমার মায়ার চোখ খুব ভালো করে চিনি তাই তুমি যতোই নিজেকে আড়াল করো না
কেনো আমি তোমাকে ঠিক চিনতে পেড়েছি।
উফফ্ রে। মহা মুশকিলে পরলাম তো।
আপনি কি একা রাস্তায় বের হয়েছেন নাকি সাথে কেউ আছে নাই?
একাই বের হয়েছি।
জানো ওরা আমাকে ঘর বন্দি করে রাখে
তোমার কাছে আসতে দেয় না তাই আজকে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে তোমার কাছে এসেছি।
আপনার বাড়ি ফিরে যান সবাই
চিন্তা করবে তো আর আপনাকে কতো বার বলবো যে আমি মায়া না।
তুমি আমার সাথে চলো তাহলে বাড়ি ফিরে যাবো।
আর কিছু বললাম না লোকটা আমার হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
কোনো ভাবে হাত ছাড়াতে পারছি না।
লোকটাকে আগে কখনও দেখি নি৷ লোকটার স্বভাব একদম বাচ্চাদের মতো।
বাচ্চারা যেমন কোনো কিছু নিয়ে বায়না করে তেমন উনিও করতে আছে।
এমন সময় আমার বাবা আমাকে দেখে ডাক দিলো,,,,
তানিশা তুই এখানে এই ছেলেটার সাথে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো? (বাবা)
বাবা দেখা আমি এই লোকটাকে চিনি না উনি বলছে আমি নাকি ওনার মায়া। কখন থেকে বলতে আছি আমার হাত ছাড়তে তাও ছাড়ছে না। (আমি)
আমার মেয়ের হাত ছেড়ে দেও (বাবা)
না ছাড়বো না। ও আমার মায়া। ( লোকটা)
বাবা কিছু একটা করো। ( আমি)
লোকটার এসব কান্ড দেখে রাস্তায় লোকের ভিড় জমা হলো। সবাই বলছে এই ছেলেকে কেউ চিনে না। একজন আমার হাত ছাড়ানোর জন্য এগিয়ে গেছে দেখে তার গায়ে ঢিল ছুরে মারছে।
এর মধ্যে একজন এসে বললো ছেলেটাকে সে চিনে। সম্পর্কে তার আত্মীয় হয়।
সে লোকটা বাড়িতে ফোন দিয়ে এসব ঘটনা জানিয়ে দিলো। কিছুক্ষণ পর দুটো লোক আসলো একজন ওনার বাবা আর একজন চাচা।
আমার বাবাকে দেখে ওই লোকটার বাবা জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।
এতো বছর পর তোর সাথে দেখা হয়েছে তাও আবার এইরকম ভাবে হবে তা কখনও ভাবি নাই রে। ( বাবা)
সব কিছু ভাগ্য রে।আজ আমার সব কিছু আছে শুধু সুখ নাই রে ( লোকটার বাবা)
কেনো কি হয়েছে? তোর ছেলের এমন অবস্থা হলো কি করে? (বাবা)
সে অনেক কথা ভাই। এখন মুইনকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে (লোকটার বাবা)
আমার বাসায় চল এখন (বাবা)
হ্যাঁ বাবা চলো আমরা মায়াদের বাসায় যাই, চলো বাবা।(মুইন)
আচ্ছা (মুইননের বাবা)
তানিশা, তোর আজকে কলেজে যেতে হবে না বাসায় চল (বাবা)
হুম
সবাই বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
ধুর বাল ভাল্লাগে না একটা উটকো ঝামেলার জন্য আজকে কলেজে যাওয়া হলো না।
কোথাকার কোন পাগল ছেলে তার জন্য আমার দিন টা মাটি করলো।
আর কোনো মেয়ে পেলো না আমাকে মায়া বানিয়ে দিলো। অসহ্য।
(এসব মনে মনে বলতে বাড়ি এসে গেলাম)
আমি বোরখা ছেড়ে ফ্রেস হওয়ার জন্য আমার রুমে যাবো
তখনই মুইন পেছন থেকে ডাক দিলো,,
ওই মায়া তুমি আমাকে ছেড়ে কোথায় যাচ্ছো?
আমিও তোমার সাথে যাবো
জাহান্নামে যাচ্ছি যাবেন (মেজাজ দেখিয়ে বলছি,
সকাল থেকে যে সব হচ্ছে আমার সাথে তা আর সহ্য হচ্ছে না)
হ্যাঁ যাবো। জাহান্নাম দেখবো কতো মজা
একদম চুপচাপ এখানে বসে থাকেন।
মায়য়য়া..
চুপ ।
সবাই মুইনকে বুঝিয়ে জোড় করে টিভি অন করে বসিয়ে রাখলো।
আমি আমার রুমে এলাম।
এবার বলি, প্রতিদিনের মতো সকালে কলেজের উদ্দেশ্য রওনা দেই। বাড়ি থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর হঠাৎ করে একটা ছেলে এসে আমার সামনে দাঁড়ায়। আমি অপলক দৃষ্টিতে থাকি। ছেলেটা দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু অগোছালো টাইপের।
কারো স্পর্শ পেলাম আমার হাতের উপর তখন ছেলেটা থেকে চোখ সরিয়ে নিজের হাতের দিকে তাকালাম। মন চাইছিলো আরেকটা হাত দিয়ে ছেলেটার গালে থাপ্পড় দেই কিন্তু দিতে পারি নি যদি উল্টাপল্টা কিছু করে এই ভয়ে।
এরপরের ঘটনা শুনলেনই তো।
এখান ফ্রেস হয়ে রুমের দরজা লক করছে শুয়ে। একটু ঘুম ও আসছে এমন সময় দরজায় টোকা দিতেই আছে তো দিতে আছে।
মেজাজ খারাপ নিয়ে দরজা খুললাম দেখি মুইন দাড়িয়ে আছে..
চলবে....
1 Comments
Easy "water hack" burns 2 lbs OVERNIGHT
ReplyDeleteAt least 160 000 men and women are utilizing a easy and secret "water hack" to drop 2 lbs every night as they sleep.
It is scientific and it works every time.
Here's how to do it yourself:
1) Hold a clear glass and fill it half the way
2) And then follow this weight loss hack
and you'll become 2 lbs skinnier as soon as tomorrow!