
আমি তার ওখানে গিয়ে বললাম,'বেটি (মেয়ে) শুভ বিবাহে তোমাকে অভিনন্দন।আল্লাহ তোমাকে আদর্শ ও ভাল স্ত্রী হিসাবে কবুল করুক।তোমার বিবাহে আমি আনন্দিত। আমি পত্রিকায় ও মানুষের কাছে যখন তোমার ব্যাপারে নেতিবাচক কথা শুনতাম তখন আমি তোমার জন্য দোয়া করতাম আর তোমার সাথে দেখা করারও আমার ইচ্ছা ছিল। আজ দেখা হয়েছে।শুধু এই অল্প কথায় হয়েছে তার সাথে আমার।আমি তার চোখে পানি দেখলাম।তারপর আমি উঠে চলে আসলাম।চলে গেলাম দুবাই থেকে জেবুতি। জেবুতি থেকে ফিরে আসার পর বীণা মালিক ও তার স্বামী আমার সাথে দেখা করতে এল।বীণা মালিক বলল,'মাওলানা,আপনি আমার জীবনকে বদলে দিয়েছেন।আমি বললাম, বেটি আমি তো কিছুই করিনি।কোন নসিহত,কোন জায়েজ-নাজায়েজ নিয়ে কোন কথায় তো হয়নি তোমার সাথে।অশ্রুসজল চোখে বীণা মালিক বলল 'না আপনি আমাকে মেয়ে বলে ডেকেছেন।আপনার মত আলেম আমাকে মেয়ে বলতে পারে?মা-বাবাই যেখানে মেয়ে হিসাবে গ্রহন করছে না।আপনি আমাকে মেয়ে বলে ডেকেছেন। আমার জীবন বদলে গেছে।আমি আপনাকে কথা দিলাম যে উড়না দিয়ে আজ মাথা ঢেকে রেখেছি সেই উড়না মৃত্যুর আগে কখনও মাথা থেকে নামবে না।'
-- তারিক জামিলের বয়ান অবলম্বনে বীণা মালিক কথা রেখেছেন।
এরপর থেকে মাথায় উড়না ছাড়া তাকে দেখা যায়নি।তখন থেকে চলচ্চিত্রকেও বিদায় জানিয়েছেন তিনি।বিষয়টা সহজ নয়।কোটি-কোটি যুবকের হার্টথ্রব ছিলেন।যশ,খ্যাতি,সম্পদ মোটকথা গ্লামার জগতের সব ছেড়ে এসেছিলেন।মিলিয়ন টাকার প্রোগ্রাম,অনেক বলিউড মুভির অফার ছেড়ে ফিরে এসেছেন নিজ ধর্ম ইসলামের পথে।বীণা মালিকের ভাষায় সেভেন স্টার হোটেলেও তার ঘুম আসত না।এত যশ,খ্যাতির পরেও তার মনে সুখ ছিলনা।ধর্ম পালনের পর সেই সুখ তিনি খোঁজে পাচ্ছেন। আলেম-উলামারা চাইলে খ্যাতির মোহে মগ্ন গ্লামার জগতের অর্ধনগ্ন মডেলদের কাছেও দাওয়াত নিয়ে যেতে পারে।হয়ত অনেকেই ইসলামে ফিরে আসবে। পাকিস্তানের অন্যান্য আলেম যখন তাকে পতিতা হিসাবে গণ্য করে তার ব্যাপারে বিদ্বেষ পোষণ করত,নিজের মা- বাবাও যখন তাকে স্বীকার করতে চাইত না তখন তারিক জামিল সাহেবের বেটি ডাক বীণা মালিকের জীবনটাই বদলে দিল।
-- কালেক্টেড
0 Comments