Breaking News

আল্লাহু তা'য়ালা বলেনঃ হে নবী (সাঃ) আমি বনী ইসরাঈলকে কিতাব, রাজত্ব ও নবুওয়ত দান করেছিলাম এবং তাদেরকে পরিচ্ছন্ন রিযিক দিয়েছিলাম এবং বিশ্ববাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

আল্লাহু তা'য়ালা বলেনঃ হে নবী (সাঃ)
আমি বনী ইসরাঈলকে কিতাব, রাজত্ব ও
নবুওয়ত দান করেছিলাম এবং তাদেরকে
পরিচ্ছন্ন রিযিক দিয়েছিলাম এবং বিশ্ববাসীর
উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।
আরও দিয়েছিলাম তাদেরকে ধর্মের সুস্পষ্ট
প্রমাণাদি। তঃপর তারা জ্ঞান লাভ করার পর
শুধু পারস্পরিক জেদের বশবর্তী হয়ে মতভেদ
সৃষ্টি করেছে। তারা যে বিষয়ে মতভেদ করত,
আপনার পালনকর্তা কেয়ামতের দিন তার
ফয়সালা করে দেবেন।
এরপর আমি আপনাকে রেখেছি ধর্মের এক
বিশেষ শরীয়তের উপর। অতএব, আপনি এর
অনুসরণ করুন এবং অজ্ঞানদের খেয়াল-খুশীর
অনুসরণ করবেন না।
আল্লাহর সামনে তারা আপনার কোন উপকারে
আসবে না। যালেমরা একে অপরের বন্ধু। আর
আল্লাহ পরহেযগারদের বন্ধু।
এটা মানুষের জন্যে জ্ঞানের কথা এবং বিশ্বাসী
সম্প্রদায়ের জন্য হেদায়েত ও রহমত।
যারা দুস্কর্ম উপার্জন করেছে তারা কি মনে করে
যে, আমি তাদেরকে সে লোকদের মত করে দেব,
যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং তাদের
জীবন ও মুত্যু কি সমান হবে? তাদের দাবী কত
মন্দ।
আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল যথাযথভাবে
সৃষ্টি করেছেন, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি তার
উপার্জনের ফল পায়। তাদের প্রতি যুলুম করা
হবে না।
আপনি কি তার প্রতি লক্ষ্য করেছেন, যে তার
খেয়াল-খুশীকে স্বীয় উপাস্য স্থির করেছে?
আল্লাহ জেনে শুনে তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন,
তার কান ও অন্তরে মহর এঁটে দিয়েছেন এবং
তার চোখের উপর রেখেছেন পর্দা। অতএব,
আল্লাহর পর কে তাকে পথ প্রদর্শন করবে?
তোমরা কি চিন্তাভাবনা কর না?
তারা বলে, আমাদের পার্থিব জীবনই তো শেষ;
আমরা মরি ও বাঁচি মহাকালই আমাদেরকে
ধ্বংস করে। তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোন জ্ঞান
নেই। তারা কেবল অনুমান করে কথা বলে।
[তাদের কাছে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ
পাঠ করা হয়, তখন একথা বলা ছাড়া তাদের
কোন মুক্তিই থাকে না যে, তোমরা সত্যবাদী
হলে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে আস।
আপনি বলুন, আল্লাহই তোমাদেরকে জীবন
দান করেন, অতঃপর মৃত্যু দেন, অতঃপর
তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্রিত করবেন,
যাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ
বোঝে না।
নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের রাজত্ব আল্লাহরই।
যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন
মিথ্যাপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আপনি প্রত্যেক উম্মতকে দেখবেন নতজানু
অবস্থায়। প্রত্যেক উম্মতকে তাদের আমলনামা
দেখতে বলা হবে। তোমরা যা করতে,
অদ্য তোমারদেরকে তার প্রতিফল দেয়া হবে।
আমার কাছে রক্ষিত এই আমলনামা তোমাদের
সম্পর্কে সত্য কথা বলবে। তোমরা যা করতে
আমি তা লিপিবদ্ধ করতাম।
যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদেরকে তাদের পালনকর্তা স্বীয়
রহমতে দাখিল করবেন। এটাই প্রকাশ্য সাফল্য।
আর যারা কুফর করেছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসা
করা হবে, তোমাদের কাছে কি আয়াতসমূহ
পঠিত হত না? কিন্তু তোমরা অহংকার করছিলে
এবং তোমরা ছিলে এক অপরাধী সম্প্রদায়।
যখন বলা হত, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং
কেয়ামতে কোন সন্দেহ নেই, তখন তোমরা
বলতে আমরা জানি না কেয়ামত কি ? আমরা
কেবল ধারণাই করি এবং এ বিষয়ে আমরা
নিশ্চিত নই।
তাদের মন্দ কর্ম গুলো তাদের সামনে
প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং যে আযাব নিয়ে তারা
ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, তা তাদেরকে গ্রাস করবে।
বলা হবে, আজ আমি তোমাদেরকে ভুলে যাব,
যেমন তোমরা এ দিনের সাক্ষাৎকে ভুলে
গিয়েছিলে। তোমাদের আবাসস্থল জাহান্নাম
এবং তোমাদের সাহায্যকারী নেই।
এটা এজন্যে যে, তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে
ঠাট্টারূপে গ্রহণ করেছিলে এবং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে প্রতারিত করেছিল। সুতরাং আজ তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে না এবং
তাদের কাছে তওবা চাওয়া হবে না।
অতএব, বিশ্বজগতের পালনকর্তা, ভূ-মন্ডলের পালনকর্তা ও নভোমন্ডলের পালনকর্তা
আল্লাহর-ই প্রশংসা।
{সুরা আল জাসিয়া আয়াতঃ১৬/৩৬}

 

Post a Comment

0 Comments