অর্ধ শাবানের রাতের ব্যাপারে নিম্নোক্ত
হাদীসটি সহীহ না যঈফ এ ব্যাপারে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে। তবে আল্লামা আলবানী
সহ একদল মুহাদ্দিস হাদীসটিকে বিভিন্ন সনদের সমন্বয়ে সহীহ বলেছেন।
পক্ষান্তরে অন্য একদল মুহাদ্দিস এটিকে দূর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন। হাদীসটি
হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলছেন:
((إن الله ليطلع في ليلة النصف من شعبان ، فيغفر لجميع خلقه ، إلا لمشرك أو مشاحن))
“আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে (পৃথিবীর) দিকে তাকিয়ে দেখে মুশরিক এবং বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যক্তি ছাড়া সমস্ত সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন।”
(উক্ত হাদীসটি সহীহ ও যঈফ হওয়ার ব্যাপারে একটি পর্যালোচনা টিকাতে দেখুন)[6]
(উক্ত হাদীসটি সহীহ ও যঈফ হওয়ার ব্যাপারে একটি পর্যালোচনা টিকাতে দেখুন)[6]
এ হাদীসে নিসফে শাবানের ফযীলত প্রমাণিত হলেও
এতে বিশেষ কোন ইবাদত প্রমাণিত হয় না এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামও এ রাতে বিশেষ কোন এবাদত করেন নি বা করতে বলেন নি। সুতরাং এটাকে কেন্দ্র করে চৌদ্দ তারিখ দিনে রোযা রাখা এবং রাতে একশ রাকাত নামায পড়া এবং এ উপলক্ষ্যে অন্যান্য অনুষ্ঠানাদী পালন করা কিভাবে গ্রহণ যোগ্য হতে পারে?
এতে বিশেষ কোন ইবাদত প্রমাণিত হয় না এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামও এ রাতে বিশেষ কোন এবাদত করেন নি বা করতে বলেন নি। সুতরাং এটাকে কেন্দ্র করে চৌদ্দ তারিখ দিনে রোযা রাখা এবং রাতে একশ রাকাত নামায পড়া এবং এ উপলক্ষ্যে অন্যান্য অনুষ্ঠানাদী পালন করা কিভাবে গ্রহণ যোগ্য হতে পারে?
বরং
উক্ত হাদীসে শিরকের ভয়াবহতা প্রমাণিত হয়। যে ব্যক্তি আল্লাহর নাম,
গুণাবলী, কাজ বা ইবাদতে অন্যকে অংশীদার করবে তাকে মুশরিক বলা হয়।সুতরাং য
ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া কোন সৃষ্টি জীবের কাছে বিপদ-মুসিবত থেকে মুক্তির জন্য
প্রার্থনা জানাবে সে শিরক করবে। যে পীর-ওলী, নবী
বা ফেরেশতার নিকট সাহায্যের হাত পাতবে সে শিরক করবে। যে আল্লাহ ছাড়া অন্য
কারো সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু যবেহ করবে বা মান্নত করবে সে শিরক করবে।
আল্লাহ তায়ালা শিরককারীকে ক্ষমা করবেন না বলে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বিভিন্ন
স্থানে স্পষ্টভাবে সর্তক করেছেন।
ইমাম আওযাঈ (রাহ:) বলেন: হাদীসে বিদ্বেষ পোষণকারী’ বলতে সে সকল বিদাতপন্থীকে বুঝানো হয়েছে, যারা
দন্দ-কলহ করে মুসলমানদের জামাআত থেকে বের হয়ে যায়। সুতরাং এ হাদীস থেকে
স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় দ্বীন ইসলামের মধ্যে বিদআত করা এবং
মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার কতটা ভয়াবহ!
অনুরূপভাবে হাদীসে পরস্পরে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানী, মারামারীতে লিপ্ত থাকার ভয়াবহতা সম্পর্কেও জানা যায়। কিন্তুবাস্তবতা হচ্ছে, মুসলমানগণ এসব বিষয়কে কত নগণ্য মনে করে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেফাযত করুন।
0 Comments