শাবান মাস এবং এতে বিশেষ নামায পড়া সম্পর্কে বর্ণিত এমন কতিপয় হাদীস বিশেষজ্ঞগণ যেগুলোকে যঈফ অথবাজালহিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন:
ক) রজব আল্লাহর মাস। শাবান আমার মাস এবং রামাযান আমার উম্মতের মাস।”[8]
খ)যখন শাবান মাসের পনের তারিখ আসে তোমরা দিনে রোযা রাখ আর রাতে নফল নামায আদায় কর। কারণ, কারণ এ রাতে আল্লাহ তায়ালা নিচের আসমানে নেমে আসেন এবং বলতে থাকেন: এমন কেউ আছো যে আমার নিকট ক্ষমা চাও আমি তাকে ক্ষমা করে দিব, এমন
কেউ আছো যে আমার নিকট রিযিক চাও আমি তাকে রিযিক দিব। এমন কেউ আছো যে আমার
কাছে বিপদ থেকে মুক্তি চাও আমি তাকে বিপদ থেকে মুক্তি দিব…এভাবে আল্লাহ
তায়ালা ফজর উদীত হওয়া পর্যন্ত ডাকতে থাকেন। কোন মুহাদ্দিসের মতে এটি দূর্বল
আর কারও মতেএটি একটি জাল হাদীস। দেখুন [9]
গ) “হে আলী, যে ব্যক্তি অর্ধ শাবানের রাত্রিতে এমনভাবে একশত রাকাত নামায আদায় করবে যে, প্রতি
রাকাআতে সূরা ফাতিহার পরে দশবার কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’সূরা পাঠ করবে
আল্লাহ তাআলা তার সে রাত্রির যাবতীয় প্রার্থনা পূরণ করবেন।”[10]
ঘ) আয়েশা (রা:) হতে বণির্ত। এক রাতে আমি
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে (আমার ঘরে) পেলাম না। তাই তাকে
খুঁজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে তাকে বাকী গোরাস্থানে পেলাম। তিনি আমাকে
দেখে বললেন: “তুমি কি এ আশংকা কর যে, আল্লাহ এবং তার রাসূল তোমার প্রতি
অবিচার করবেন?” আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমি ধারণা করে ছিলাম যে,
আপনি হয়ত আপনার অন্য কোন স্ত্রীর ঘরে গিয়েছেন। একথা শুনে তিনি বললেন:
“আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে নিচের আসমানে নেমে আসেনএবং কালব গোত্রের
ছাগল সমূহের লোম সমপরিমান মানুষকে ক্ষমা করে দেন।”[11]
ঙ) যে ব্যক্তি অর্ধ শাবানের রাতে বার রাকাত
নামায পড়বে-প্রতি রাকাতে কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’সূরাটি পড়বে ত্রিশ
বার-তাহলে সে জান্নাতে তার আসন না দেখে বের হবে না।”[12]
0 Comments